' name='description'/> ' name='keywords'/> October 2016 ~ Islamic Entertainment.

Wednesday, October 26, 2016

আল কুরআনের দিকে ফিরে আসা

আল কুরআনের দিকে ফিরে আসা



প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

quran-mosque

লেখকঃ উস্তাদ মুহাম্মাদ নাসীল শাহরুখ
بسم الله الرحمن الرحيم
মুসলিম হিসেবে দুনিয়া এবং আখিরাতে আমাদের সাফল্য, সম্মান ও মর্যাদা মাত্র একটি পথেই আসতে পারে – আর তা আল কুরআনকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে৷ আল্লাহ তাআলা বলেন:
لَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكُمْ كِتَبًۭا فِيهِ ذِكْرُكُمْ ۖ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ ও মর্যাদা রয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?



অর্থাৎ তোমাদের প্রতি আমি যে কিতাব নাযিল করেছি, সেই আল-কুরআনের অধ্যয়ন, এর শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে এর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কাঙ্খিত মর্যাদা ও সাফল্য লাভ করতে পারবে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না যে তোমাদেরকে অন্যদের ওপর কী শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয়েছে?


এই আয়াতে মর্যাদা বোঝানোর জন্য যিকর শব্দটির ব্যবহার অত্যন্ত চমৎকার, কেননা এর অপর অর্থ হল উপদেশ৷ সুতরাং আল কুরআনে রয়েছে এই উম্মাতের যিকর, এর দ্বারা একই বাক্যে ফলাফল ও কারণ – দুটিকেই অত্যন্ত চমৎকারভাবে নিয়ে আসা হয়েছে; যেন বলা হচ্ছে: যদি তোমরা আল-কুরআনের উপদেশ গ্রহণ কর, তবে তোমরা তোমাদের কাঙ্খিত সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করতে পারবে৷



আল কুরআন মানুষের নিকট স্বয়ং তার স্রষ্টার বার্তা৷ কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কারও কাছে কোন চিঠি বা বার্তা পাঠালে তা পড়ে, জেনে, বুঝে সে অনুযায়ী কাজ না করে সে কখনোই স্বস্তি পাবে না – যদি সত্যিই প্রেরক তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়৷ সেক্ষেত্রে স্বয়ং স্রষ্টার পাঠানো বার্তা না পড়ে, না জেনে, বাস্তবায়ন না করে একে গিলাফে বন্দী করে তাকে উঠিয়ে রেখে কিভাবে একজন মুসলিম স্বস্তি পেতে পারে?


আমরা আজ আল কুরআন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি৷ যারা আল কুরআনের সাথে সামান্য কিছু সম্পর্ক রেখেছেন, তারা তা রেখেছেন শুধুমাত্র একে তিলাওয়াত বা পাঠ করার মাধ্যমে৷ আল-কুরআন বিশুদ্ধভাবে পাঠ করতে পারা লোকের সংখ্যাই কম, আর একে জেনে-বুঝে আমলে বাস্তবায়ন করা লোকের সংখ্যা তো নিতান্তই নগণ্য৷



এই যদি আমাদের অবস্থা হয়, তবে কিয়ামতের দিন আমাদের জন্য এক লজ্জাজনক দৃশ্য অপেক্ষা করছে। যেদিন স্বয়ং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে অভিযোগ পেশ করে বলবেন:


وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَرَبِّ إِنَّ قَوْمِى ٱتَّخَذُوا۟ هَذَا ٱلْقُرْءَانَ مَهْجُورًۭا
আর রাসূল বলবে, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে৷

যে লোকগুলো আল্লাহকে, তাঁর রাসূলকে ভালবাসা ও তাঁদের প্রতি ঈমানের দাবী করছে, স্বয়ং সেই লোকগুলোর বিরুদ্ধেই হয়ত অভিযোগ আনা হবে: তারা আল-কুরআনকে অধ্যয়ন করে নি, আল-কুরআনের অর্থ শেখেনি, একে জীবনে বাস্তবায়ন করে নি – সর্বোপরি তারা আল কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে৷



তাই এখনই সময় আল-কুরআনের দিকে ফিরে আসার৷ আল-কুরআনের দিকে ফিরে আসতে হলে আমাদেরকে সাধ্যমত কয়েকটি কাজ করতে হবে:
১) নিয়মিত আল কুরআনের তিলাওয়াত৷
২) সাধ্যমত একে মুখস্থ করা৷
৩) নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এর অর্থ ও ব্যাখ্যা শেখা৷
৪) আল-কুরআনের অর্থ ও শিক্ষা নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করা, যাকে আল কুরআনে তাদাব্বুর বলা হয়েছে৷ আল্লাহ তাআলা বলেন:




كِتَبٌ أَنزَلْنَهُ إِلَيْكَ مُبَرَكٌۭ لِّيَدَّبَّرُوٓا۟ ءَايَتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَبِ
আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি এক বরকতময় কিতাব, যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে৷



৫) আল কুরআনের শিক্ষাকে আমলে বাস্তবায়ন
৬) মানুষকে আল কুরআন শেখানো এবং আল কুরআনের দিকে আহ্বান জানানো৷



এই সমস্ত কাজগুলো করার মাধ্যমে আমরা যদি আবারো আল-কুরআনের দিকে ফিরে আসতে পারি, তবে আমরা সর্বোত্তম মানুষ হতে পারব বলে আশা করা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:



خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম তারাই যারা নিজেরা কুরআন শেখে ও অপরকে তা শেখায়!



………………………………………….
১ সূরা আল আম্বিয়া, ২১ : ১০৷
২ সূরা আল ফুরকান, ২৫ : ৩০৷
৩ সূরা সাদ, ৩৮ : ২৯৷
৪ সহীহুল বুখারী ৫০২৭, ৫০২৮, তিরমিযী ২৯০৭, ২৯০৮, আবূ দাউদ ১৪৫২, ইবনু মাজাহ ২১১, আহমাদ ৫০৭, ৪১৪, ৫০২, দারেমী ৩৩২৮ ৷


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি এটা কি আমরা জানি ?

‘বিসমিল্লাহ্‌’ মানে কি এটা কি আমরা জানি ?


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

bismillah-facebook-cover


ইসলাম যে কত সুন্দর আর ইসলামের জ্ঞানে যে কত গভীর তাৎপর্য ও সৌন্দর্য আছে এটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপলব্ধি করে উঠতে পারিনা।কারণটা অনেকক্ষেত্রেই ইলম শিক্ষায় সময় বের করতে নিজের অনাগ্রহ এবং আগ্রহ থাকলেও দ্বীনের ইলম কার কাছ থেকে নিচ্ছি সেটার উপর নির্ভর করে পুরোপুরি।



শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল তাওহীদ-১ লেকচারে মিনিট পাঁচেক “বিসমিল্লাহ্‌”র অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে কিছু কথা বলেছেন।এই সামান্য জ্ঞানটাও যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস এটা একটা “Lifetime Achievement”!বাহুল্য কাজ কিংবা ভালো কাজে না চাওয়া সত্ত্বেও লোকদেখানো মনোভাব থেকে মুক্ত হয়ে আমরা বুঝতে পারবো যে সিরাতুল মুস্তাকিমে থাকা আসলেই অনেক সহজ আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! তাই শাইখের লেকচার থেকে কিছুটা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলামঃ


বিসমিল্লাহ্‌ এসেছে “বাসমালাহ” থেকে।তাওহীদের সকল দিকই(aspects) এই “বিসমিল্লাহ”র মধ্যে পরিস্ফুটিত হয়।তাওহিদ উল উলুহিয়্যাহ ,তাওহিদ উর রুবুবিয়া এবং তাওহিদ আসমা ওয়াসসিফাত এই তিনটাই।নিচের তিনটা পয়েন্টে আমরা দেখে নিই যে তাওহীদের এই aspect গুলো আসলে কি বোঝাচ্ছে-



প্রথমত, বিসমিল্লাহ্‌ বলে কোন কাজ শুরু করা মানেই এই সাক্ষ্য দেয়া যে আল্লাহ্‌ই আমাকে এই কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন,যদি এই কাজে আল্লাহর সায় না থাকতো আমি কখনোই এ কাজ করতে পারতাম না।হে আল্লাহ্ একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির(Only for your sake) জন্যই এ কাজটা করছি।



কেউ কখনো হারাম কাজ করতে গিয়ে বিসমিল্লাহ্‌ বলতে পারেনা।যদি বলে সে আসলে দ্বিগুণ গুনাহ করছে।কারণ, সে যখন বলে বিসমিল্লাহ্‌ সে তখন সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আল্লাহ্‌ই তাকে এ কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন অতচ আল্লাহ্‌ কখনোই সে কাজের বৈধতা দেননি।এটা হল একটা গুনাহ আর দ্বিতীয়টা হল ওই হারাম কাজের গুনাহ ।
এই ধারণাই হল তাওহীদ উল উলুহিয়্যাহ।



দ্বিতীয়ত, যখন আমরা কোন একটা জিনিস লিখি বা করি আমাদের মনে এই প্রশ্নটা আসা উচিৎ যে এই আমি লিখছি কে আমাকে এই লিখার ক্ষমতা দিল?এ কাজ করার ক্ষমতা আমায় কে দিয়েছেন?- আল্লাহ্‌ই আমাকে দিয়েছেন এই ক্ষমতা।তাই যখন আমরা বলি বিসমিল্লাহ্‌ তখন আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি


 “I couldn’t have done this without the power Allah has given me, Bismillah I am doing this by the power Allah has given it. Bismillah I eat because Allah has given me this provision and had it not been for the power Allah has given me I wouldn’t be able to chew it. Bismillah I write because if it wasn’t for Allah given me the power my hand wouldn’t be able to move”


এটা বলা আসলে “লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”বলার মত মানে “If it was not for his power I wouldn’t have done this act” এজন্যই আল্লাহ্‌ বলছেন “Every provision you have is from Allah”
এটা হল তাওহীদ আররুবুবিয়্যাহ।


তৃতীয়ত,বিসমিল্লাহ্‌ বলা মানে “Seeking Blessing by the name of Allah.You are using the name of Allah to Bless whatever you are doing.” অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নামকে ব্যবহার করে যেই কাজটা আমরা করবো সেটার জন্য বরকত চাওয়া।আর এই ধারনাটাই হল তাওহীদ আসমা ওয়াস সিফাত।


[‘বিসমিল্লাহ’র এই ব্যাখ্যাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই সম্ভবহলে অন্যদের কাছেও এই জ্ঞান পৌঁছে দিন:Both Online & Offline] লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে “ঈনসাফ” এর ব্লগ থেকে।


(এ ওয়েব সাইটের সাথে সম্পৃক্ত অন্য ওয়েব সাইট অথবা অন্য ওয়েব সাইটে প্রদত্ত বিষয়-বস্তুর সাথে এ ওয়েব সাইটে প্রদত্ত বিষয়-বস্তুর সম্পৃক্ততা এবং এর সাথে সম্পৃক্ত অন্য ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার ব্যাপারে কোনো দায়-দায়িত্ব কুরআনের আলো বহন করে না।


 তাতে প্রবেশ করবেন নিজ দায়িত্বেই। কারণ, সে সকল ওয়েব সাইট আমাদের দখলে নেই এবং তার বিষয়-বস্তু কিংবা ওয়েব সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযুক্তিও আমাদের আয়ত্বে নেই।


 এবং এটাও মনে করা যাবে না যে, কুরআনের আলোর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ওয়েব সাইটে উপস্থাপিত জ্ঞান ও তথ্যের ব্যাপারে কুরআনের আলো একমত। কুরআনের আলো সে সব ওয়েবের লিংক দিয়ে শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়। তাছাড়া সে সব ওয়েব সাইটে প্রদত্ত তথ্যের কোনো দায়-দায়িত্ব কুরআনের আলো কখনও বহন করে না।)


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Android App: iHadis

Android App: iHadis


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

 hadis হাদিস অ্যাপের ফিচারসমুহঃ 

13411619_969901039796740_7963246147866824179_o


– ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনঃ app এর ডিজাইনের দিকে বেশ অনেকটা সময় ব্যয় করা হয়েছে। সাদার সাথে বিভিন্ন কালার কম্বিনেশন করা হয়েছে। হোমপেজে শুরুতেই চমক আছে – ২ টা ভিউ রাখা হয়েছে- যে যেটা পছন্দ করেন। নতুন অ্যাপে বেশ কয়েকটি হাদিসের বই দেয়া হবে। বই> অধ্যায়> হাদিস — এই প্যাটার্ন ফলো করা হয়েছে।



– সার্চঃ যাই সার্চ করেন না কেন সব হাদিসের বইয়ের ভেতর খুঁজে রেজাল্ট আসবে ১ সেকেন্ডের মধ্যে ইনশাল্লাহ, হ্যাঁ এতটাই ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে যাচ্ছে ihadis হাদিস অ্যাপ
– ড্রয়ার : সুদৃশ্য একটি ড্রয়ার আছে আমাদের অ্যাপে। এতে বুকমার্ক, সেটিংস সহ বেশ কিছু অপশন আছে।


– চ্যাপটার পেজ : হাদিসের রেঞ্জসহ হাদিসের অধ্যায়গুলো দেখা যাবে। অধ্যায়ে ক্লিক করলে পরের পেজে হাদিস দেখাবে


– হাদিস পেজ : ihadis হাদিস অ্যাপের অন্যতম মুল আকর্ষণ হাদিস পেজ। মাল্টিপল ভিউ এবং সিঙ্গেল ভিউ- এই দুইটি ভিউই আছে, যা অন্য কোন (national/international) হাদিসের অ্যাপে নেই আমার জানামতে। 


যেন বই থেকেই হাদিস পড়ছি – এই অনুভূতি দেবে মাল্টিপল ভিউ। আরও রয়েছে স্মুথ স্ক্রল এক্সপেরিয়েন্স। এক হাদিস থেকে দ্রুত আরেক হাদিসে জাম্প করার সুবিধাও রয়েছে। সিঙ্গেল ভিউতে হাদিসটা আরও বেশি হাইলাইট হবে, একটি হাদিসের উপর মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে। হাদিস পড়তে পড়তে জ্ঞানের সাগরে ডুব দিতে পারবেন পাঠককুল – এমনটাই আশা করছি আমরা।
– চ্যাপটার পেজ : হাদিসের রেঞ্জসহ হাদিসের অধ্যায়গুলো দেখা যাবে। অধ্যায়ে ক্লিক করলে পরের পেজে হাদিস দেখাবে
– কোন অ্যাড নেই


যে সকল হাদিস গ্রন্থ আছেঃ
১. সহিহ বুখারী
২. সহিহ মুসলিম
৩. আবূ দাউদ
৪. তিরমিজী
৫. ইবনে মাজাহ
৬. সহিহ হাদিসে কুদসী
৭. ৪০ হাদিস


Playstore Link: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.ihadis



'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Android App: অর্থপূর্ণ নামায (সালাত) শব্দসহ

Android App: অর্থপূর্ণ নামায (সালাত) শব্দসহ


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

 নামাযে (সলাতে) আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কি বলছেন তা কি জানেন??

13227373_499611420249119_333068579871727857_o

অর্থপূর্ণ নামায (সলাত) এমন একটি অ্যাাপ যার দ্বারা আপনি নামাযের পঠিত সূরা, তসবিহ, দোআ ইত্যাদির অর্থ (প্রতিটি শব্দের অর্থ সহ) শিখতে পারবেন।
:::::এতে আছে:::::


১। সলাতে(নামাযে) পঠিত সূরা, তাসবিহ, দোআর অর্থ
২। সূরা ফাতিহাহ এবং শেষ ১৩ সূরা
৩। শব্দে শব্দে অনুবাদ, গভীর শাব্দিক এনালাইসিস ও তাফসির আহসানুল বায়ান
৪। সলাতের ওয়াক্ত, ওয়াক্ত নোটিফিকেশান এবং কিবলা
৫। Pinch zoom করে মন মত ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করে নিন
৬। ছবি ও লেখা শেয়ার করার সুবিধা
৭। কোন অ্যাড নেই!
নতুন ১.১ এ যা এসেছেঃ
৮। নামাযের সময়সূচী দেখার জন্য উইজেট সুবিধা
৯। Marshmellow আর lolipop e crash সংশোধন
১০। কিছু ডিজাইন আপডেট



Playstorelink:https://play.google.com/stor/apps/details?id=com.greentech.salatbn

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

প্রশ্নোত্তরে মৌলিক ইসলাম শিক্ষা

প্রশ্নোত্তরে মৌলিক ইসলাম শিক্ষা




প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
Image result for মৌলিক ইসলাম শিক্ষা

সুপ্রিয় ভাই , আমরা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করব।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

 

 

 

১ম প্রশ্নঃ আমার, আপনার এবং পৃথিবীর সব কিছুর স্রষ্টা ও পালনকর্তা কে? উত্তরঃ আমার, আপনার এবং সারা জাহানের একমাত্র স্রষ্টা ও পালনকর্তা হলেন মহান আল্লাহ। তিনি দয়া করে আমাকে সহ পৃথিবীর প্রতিটি বস’ সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছু লালন-পালন করছেন।


২য় প্রশ্নঃ আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম কী? উত্তরঃ আমাদের দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম হল ইসলাম। ইসলাম মানে হল, আল্লাহকে ভয় করে, তাঁর প্রতি ভালবাসা রেখে এবং তাঁর কাছেই আশা ও আকাংখা নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।


৩য় প্রশ্নঃ আমরা কিভাবে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে পারি? উত্তরঃ আমরা এ বিশাল সৃষ্টিজগতের দিকে তাকালে আল্লাহর পরিচয় পাই। ঐ সুবিশাল আকাশ, এই বিস্তীর্ণ পৃথিবী, চাঁদ, সুরুজ, দিন ও রাতের আবর্তন ইত্যাদির দিকে গভীরভাবে তাকালে বুঝতে পারি এ বিশ্বচরাচর একাকি সৃষ্টি হয়ে যায়নি। বরং এসবের পেছনে রয়েছে একজন সুনিপুন স্রষ্টার হাত। আর তিনি হলেন, মহান আল্লাহ তা’আলা।


৪র্থ প্রশ্নঃ আল্লাহ কোথায় আছেন? উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে অবস্থান করেন। তিনি তাঁর সব সৃষ্টি থেকে আলাদা।


৫ম প্রশ্নঃ আল্লাহ কি সত্বাগতভাবে আমাদের সাথে থাকেন? উত্তরঃ আল্লাহ স্বীয় সত্বায় আরশে আযীমের উপর অবস্থান করেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞান আমাদেরকে পরিবেষ্টন করে আছে। তিনি সব কিছু দেখছেন। সব কিছু শুনছেন। তার শক্তি এবং ক্ষমতা সব জায়গায় বিরজমান। আল্লাহ তা’আলা মূসা ও হারুন (আলাইহিমাস সালাম) কে লক্ষ্য করে বলেন, “তোমরা ভয় পেওনা। আমি তোমদের সাথে আছি। সব কিছু দেখছি এবং শুনছি।” (সূরা ত্বাহাঃ ৪৬)


৬ষ্ঠ প্রশ্নঃ আল্লাহর ওলী কারা? উত্তরঃ ওলী শব্দের অর্থ, আল্লাহর প্রিয়পাত্র বা বন্ধু। তারাই আল্লাহর প্রিয়পাত্র হন যারা সত্যিকার ভাবে আল্লাহকে ভয় করে জীবন পরিচালনা করেন, সৎ আমল করেন, তাঁর আদেশগুলো বাস-বায়ন করেন এবং নিষেধকৃত বিষয়গুলো থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখেন 
 এবং কুরআন ও হাদীসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখেন।



৭ম প্রশ্নঃ কী পদ্ধতিতে আমাদের আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী করা উচিৎ? উত্তরঃ আমাদের কর্তব্য হল, এমনভাবে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী করব যাতে সবটুকু ইবাদত শুধু তাঁর জন্যই নিবেদিত হয়। অন্য কোন সৃষ্টিকে তাঁর সাথে শরীক বা অংশিদার করা না হয়।



৮ম প্রশ্নঃ কী দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে নবীদেরকে প্রেরণ করেছিলেন? উত্তরঃ যুগে যুগে সকল নবী ও রাসূলগণকে প্রেরণের উদ্দেশ্য হল, তারা মানুষকে এ আহবান করবেন যে, মানুষ যেন কেবল আল্লাহর ইবাদাত করে এবং তার সাথে অন্য কাউকে শরীক না করে।
আরো উদ্দেশ্য হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট অজ্ঞতার অযুহাত পেশ করতে না পারে।



৯ম প্রশ্নঃ ইসলাম কাকে বলে? উত্তরঃ আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নিয়ে পরিপূর্ণভাবে তার আনুগত্য করা এবং শির্‌ক ও শিরকপন্থীদের থেকে সর্ম্পক ছিন্ন করাকেই ইসলাম বলে।

১০ম প্রশ্নঃ ইসলামের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কী কী?
উত্তরঃ ইসলামের মূল স্তম্ভ ৫টি। সেগুলো হলঃ
১) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল- এ কথার স্বীকৃতি প্রদান করা।
২) নামায প্রতিষ্ঠা করা।
৩) যাকাত আদায় করা।
৪) রামাযান মাসে রোযা পালন করা।
৫) যে ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম তার জন্য হজ্জ সম্পাদন করা।



১১তম প্রশ্নঃ ঈমান কাকে বলে? উত্তরঃ অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং কাজে বাস্তবায়নকে ঈমান  বলে।


১২তম প্রশ্নঃ ঈমান কি বাড়ে ও কমে? উত্তরঃ হাঁ। কথা ও কাজ অনুযায়ী ঈমান বাড়ে ও কমে।


১৩তম প্রশ্নঃ ঈমান বাড়ে ও কমে এ কথার অর্থ কী? উত্তরঃ একথার অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি যত বেশী আল্লাহর আনুগত্য করবে এবং ভাল কাজ করবে তার ঈমান তত বৃদ্ধি পাবে। আর যে যত পাপ ও অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়বে তার ঈমান তত কমবে।


১৪তম প্রশ্নঃ ঈমানের মূল স্তম্ভ কয়টি ও কী কী? উত্তরঃ ঈমানের মূল স্তম্ভ ৬টি। সেগুলো হলঃ
১) আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ২) ফেরেশ্‌তাগণের প্রতি বিশ্বাস ৩) আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস ৪) নবী ও রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস ৫) পরকালের প্রতি বিশ্বাস ৬) ভাগ্যের ভাল মন্দের প্রতি বিশ্বাস।



১৫তম প্রশ্নঃ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কী? উত্তরঃ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে, এ বিশ্বাস করা যে  আল্লাহ তা’আলা রিযিক দাতা, সৃষ্টিকর্তা, সব কিছুর পরিচালক, আসমান ও যমিনের সমস্ত রাজত্ব এবং কর্তৃত্ব তাঁর হাতে। সমস্ত সৃষ্টি তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি যাবতীয় ইবাদত পাওয়ার একমাত্র অধিকারী; অন্য কেউ নয়। তাঁর রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর নাম এবং তিনি অসংখ্য পরিপূর্ণগুণের অধিকারী।


১৬তম প্রশ্নঃ ফেরেশ্‌তা কারা? উত্তরঃ তারাঁ আল্লাহর এমন এক সৃষ্টি যাদেরকে তিনি নূর (আলো) দ্বারা সৃষ্টি করেছে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে যে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন বা যে সব কাজ করতে আদেশ করেছেন তা পরিপূর্ণভাবে পালন করেন। তাতে বিন্দুমাত্র অবাধ্যতা করেন না।


১৭তম প্রশ্নঃ আসমানী গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং নবী-রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ কী? উত্তরঃ নবী রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের অর্থ হল, আল্লাহ তা’আলা যুগে যুগে অনেক নবী প্রেরণ করেছেন যেমন, নূহ, ইবরাহীম, মূসা, ঈসা, (আলাইহিমুস সালাম) প্রমূখ । তাদের প্রতি আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির দিকনির্দেশনার জন্য আসমানী গ্রন্থ নাজিল করেছেন। যেমন, তাওরাত, ইন্‌জিল, যাবূর,ইত্যাদি। নবীগণ তাদের সমসাময়িক মানবগোষ্ঠিকে এক আল্লাহর দাসত্ব করার জন্য আহবান করেছেন এবং শিরক করা থেকে নিষেধ করেছেন।

নবী-রাসূলদের ধারাবাহিকতার সব শেষে আগমন করেছেন মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তাঁর প্রতি আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেছেন আল কুরআন। এ কুরআনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সকল আসমানী গ্রন্থকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। তিনি এ কুরআনকে পরিপূর্ণভাবে বাস্ববায়ন করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন তাঁর দীর্ঘ ২৩ বছরের নবুওয়তী যিন্দেগীতে। তাই যে কোন ইবাদত অবশ্যই হতে হবে কুরআনের শিক্ষা এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাহ তথা তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে।



১৮তম প্রশ্নঃ পরকালে বিশ্বাসের অর্থ ? উত্তরঃ পরকালে বিশ্বাসের অর্থ হল, একথা বিশ্বাস করা যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি জিনিসের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ দিয়েছেন। সে মেয়াদ শেষ হলে সবাইকে অবশ্যই মৃত্যু বরণ করতে হবে। এরপর আল্লাহ সকলকে কবর থেকে পূণরুত্থিত করবেন এবং কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ নেয়ার পর প্রত্যেককে তাদের কাজের যথোপযুক্ত প্রতিদান দিবেন। ভাল কাজের বিনিময়ে তাদেরকে দেয়া হবে ভাল প্রতিদান। আর পাপ ও অন্যায়ের বিনিময়ে প্রদান করবেন কঠিন শাস্তি।
আমাদেরকে এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, যে মহান স্রষ্টা এ সুন্দর দেহাবয়বকে যেমনিভাবে প্রথমবার সৃজন করেছেন তিনি পূণরায় তাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।



১৯তমঃ ভাগ্যের ভাল-মন্দের প্রাত বিশ্বাসের অর্থ কী? উত্তরঃ এর অর্থ হল, এ জীবনে ভাল-মন্দ যাই ঘটুক না কেন এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তা অবশ্যই আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছা ও পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। কারণ, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তা’আলা প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত শুক্ষভাবে অনেক পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন।


২০তম প্রশ্নঃ “লা-ইলাহা ইল্লালাহ” এর ব্যাখ্যা কী? উত্তরঃ ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ অর্থ হল, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নাই। বরং যাবতীয় ইবাদাত ও উপাসনা পাওয়ার একমাত্র হকদার তিনি। তিনি ব্যতিরেকে যত কিছুর ইবাদত করা হচ্ছে সবই মিথ্যা এবং ভ্রান্ত।



২১তম প্রশ্নঃ ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা কী?
‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর ব্যাখ্যা হল, নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  এর নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করা। তিনি যে সকল সংবাদ ও তথ্য দান করেছেন সেগুলোকে নির্ভূল ও সত্য বলে মেনে নেয়া। তিনি যেসকল বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বা সতর্ক করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা এবং তাঁর দেখানো পদ্ধতি ব্যতিরেকে ইবাদত না করা।



২২তম প্রশ্নঃ ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর কোন শর্ত আছে কী? উত্তরঃ তাওহীদের স্বীকৃতি জ্ঞাপক এই মহান বাণীটির জন্য ৮টি শর্ত রয়েছে। সে শর্তগুলো হলঃ
১) ‘লা ইলাহা ইল্লালাহ’ এর অর্থ জেনে-বুঝে  স্বীকৃতি দেয়া। এর অর্থ বা তাৎপর্য না বুঝে পাঠ করলে কোন লাভ হবে না।
২) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে স্বীকৃতি দেয়া। এতে কোন সন্দেহ ও অস্পষ্টতা রাখা যাবে না।
৩) নির্ভেজাল মনে স্বীকৃতি দেয়া। কোন শিরকী ধ্যান-ধারণা নিয়ে পাঠ করলে কোন লাভ নেই।
৪) সত্য মনে করে স্বীকৃতি দেয়া। কপটতা থেকে মুক্ত থাকা অপরিহার্য।
৫) ভালবাসা সহকারে স্বীকৃতি দেয়া। মনের মধ্যে ঘৃণা বা ক্রোধ জমা রেখে স্বীকৃতি দিলে কোন উপকার হবে না।
৬) পূর্ণ আনুগত্যের মন-মানষিকতা নিয়ে স্বীকৃতি দেয়া। পরিত্যাগ করার বা অমান্য করার মানষিকতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
৭) মনেপ্রাণে নিঃশর্তভাবে গ্রহণ করা। এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করা বা প্রশ্নতোলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
৮) আল্লাহ ছাড়া অন্য যত কিছুর ইবাদাত করা হচ্ছে সব অস্বীকার করা।



২৩তম প্রশ্নঃ আল্লাহা তা’আলা আমাদেরকে যে সব বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বড়? উত্তরঃ সে বিষয়টি হল তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।


২৪তম প্রশ্নঃ তাওহীদ কী? উত্তরঃ তাওহীদ হল, একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা এবং আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে বা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসে তার যে সকল নাম ও গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলোকে কোনরূপ ব্যাখ্যার আশ্রয় না নিয়ে সহজভাবে মেনে নেয়া।


২৫তম প্রশ্নঃ তাওহীদ কত প্রকার? উত্তরঃ তাওহীদ তিন প্রকারঃ ১) তাওহীদুর রুবূবিয়া ২) তাওহীদুল উলূহিয়া ৩) তাওহীদুল আসমা ওয়াস্‌ সিফাত।


২৬ তম প্রশ্নঃ ‘তাওহীদুর রুবূবিয়া’ কাকে বলে? উত্তরঃ সৃষ্টি করা, রিযিক দান করা, বৃষ্টি বর্ষণ, জীবন দান, মৃত্যু দান ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক মনে করাকে তাওহীদে রুবূবিয়া বলা হয়।


২৭তম প্রশ্নঃ ‘তাওহীদুল উলূহিয়া’ কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ, দু’আ, মানত ইত্যাদি বান্দার যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী হতে পারে সবকিছুর একমাত্র অধিকারী আল্লাহকে মনে করাকে তাওহীদে উলূহিয়া বলা হয়।



২৮তম প্রশ্নঃ ‘তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত’ কাকে বলে? উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা নিজে কুরআনে অথবা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসে আল্লাহর পরিচয় সর্ম্পকে যে সব কথা বলেছেন সেগুলো মনে প্রাণে মেনে নেয়া। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কোন গুণকে অস্বীকার করা যাবে না বা  তাতে কোন শব্দগত বা অর্থগত বিকৃতী সাধন করা যাবে না। কিংবা সেগুলোর কোন ধরণ বা আকৃতি কল্পনা করা যাবেনা। বরং এ বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, এ সমস্ত গুণাবলী অবশ্যই সত্য কিন্তু তা মহান আল্লাহর জন্য যেমন হওয়া উচিৎ তেমনই।


২৯তম প্রশ্নঃ ইবাদাত বলতে কী বুঝায়? উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা যে সমস্ত কথা বা কাজে খুশী হন চাই তা প্রকাশ্য হোক বা অপ্রকাশ্য হোক তাকে ইবাদাত বলে।


৩০তম প্রশ্নঃ ইবাদতের কোন শর্ত আছে কি? উত্তরঃ ইবাদতের কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলঃ
১) ইখলাস থাকা অর্থাৎ যে কোন কাজ নির্ভেজাল চিত্তে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় কাজ করা।
২) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেখানো পদ্ধতি অনুসারে সে কাজটি করা।



৩১তম প্রশ্নঃ ইবাদাতের কতিপয় উদাহরণ দিন। উত্তরঃ নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত, ভয়, আশা, সাহায্য চাওয়া, বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা ইত্যাদি যে সব কাজ আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন সবই আল্লাহর ইবাদাত।


৩২তম প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’আলা আমদেরকে যে সব কাজ থেকে নিষেধ করেছেন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ কোনটি? উত্তরঃ সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্‌ক করা।


৩৩তম প্রশ্নঃ শির্‌ক কী? উত্তরঃ কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা শির্‌ক। যেহেতু মহান আল্লাহ তো আমাকে, আপনাকে তথা সমগ্র বিশ্বকে একাই সৃষ্টি করেছেন।


৩৪তম প্রশ্নঃ শির্‌ক কত প্রকার ও কী কী? উত্তরঃ শির্‌ক তিন প্রকারঃ ১) বড় শির্‌ক ২) ছোট শির্‌ক ৩) গোপন শির্‌ক।


৩৫তম প্রশ্নঃ বড় শির্‌ক বলতে কী বুঝায়? উত্তরঃ কোন ইবাদাত যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর নামে করা হয় তবে সেটা হল বড় শির্‌ক। কোন মুসলমান এ শির্‌ক করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় এবং তার পূর্বের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যায়। এমনকি তাওবা না করে এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।


৩৬তম প্রশ্নঃ বড় শির্‌ক কত প্রকার ও কী কী? উত্তরঃ বড় শির্‌ক চার প্রকার। তা হলঃ
১) দু’আর ক্ষেত্রে শির্‌ক করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট কিছু চাওয়া বা  বিপদাপদ থেকে রক্ষা পওয়ার জন্য দুআ করা বড় শিরক।
২) নিয়তের ক্ষেত্রে শির্‌ক করা। ইবাদাত করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত করা।
৩) ইবাদাতের ক্ষেত্রে শির্‌ক। আল্লাহর আদেশ বাস্ববায়ন করার পরিবর্তে কোন পীর, ওলী-আওলিয়া বা অন্য কোন সৃষ্টির উপাসনা করা।
৪) ভালোবাসার ক্ষেত্রে শির্‌ক। যে ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ভালবাসা পাওয়ার  উপযুক্ত সে ক্ষেত্রে তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা।



৩৭তম প্রশ্নঃ ছোট শির্‌ক কী? উত্তরঃ যে কাজ করলে বড় শিরকে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটাই ছোট শির্‌ক। যেমন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্যে কিংবা দুনিয়াবী কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন নেক কাজ করা হলে তা ছোট শিরকে রূপান্তুরিত হয়।
এ জাতীয় কাজ করলে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হবে না বটে কিন্তু সে অবশ্যই একটি বড় ধরণের পাপ সম্পাদন করল। এ জন্য যে কোন ভাল কাজ করার আগে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করার ব্যাপারে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে।




৩৮তম প্রশ্নঃ গোপন শির্‌ক কী? উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক নির্ধারিত তাকদীরের ব্যপারে অসন্তোষ প্রকাশ করাই হল গোপন শির্‌ক।


৩৯তম প্রশ্নঃ গোপন শির্‌কের প্রমাণ কী? উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “গভীর রাতে একখণ্ড কালো পাথরের উপর দিয়ে একটি কালো পিঁপড়া হেঁটে গেলে তার পায়ের যে আওয়াজ হয় তার চেয়ে আরো বেশী নীরবে আমার উম্মতের মধ্যে গোপন শির্‌ক প্রবেশ করবে।”


৪০তম প্রশ্নঃ কুফুরী কয় প্রকার ও কী কী? উত্তরঃ কুফরী দুপ্রকারঃ
১) বড় কুফরী। যেমন, কেউ আল্লাহ অসি-ত্বকে অস্বীকার করলে বা ইসলামী আদর্শকে ঘৃণা করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এ জতীয় কুফুরী করার কারণে মানুষ ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যায়।
২) ছোট কুফরী। যেমন, কেউ আল্লাহকে অস্বীকার করল না কিন’ সে আল্লাহর কোন অবদানকে অস্বীকার করল। এ ক্ষেত্রে সে ইসলাম থেকে বের হবে না কিন’ তা অবশ্যই বিরাট গুনাহের কাজ করল।



৪১তম প্রশ্নঃ বড় কুফরী কয় প্রকার? উত্তরঃ বড় কুফরী পাঁচ প্রকারঃ
১) অস্বীকার করার মাধ্যমে কুফুরী করা। আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশ্‌তা, ইসলামী কোন বিধান যেমন, নামায, পর্দা ইত্যাদি বিষয়কে সরাসরি অস্বীকার করা বড় কুফুরী। যার কারণে একজন মানুষ নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবী করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
২) অহংকারের মাধ্যমে কুফুরী করা। যেমন, ইসলাম একটি ‘চিরন্তন সত্য জীবন ব্যবস্থা’ এ কথা জানার পরও অহংকার বশতঃ ইসলাম বা ইসলামের রীতি-নীতিকে এড়িয়ে চলা।
৩) সন্দেহ পোষণ করা।
৪) অবাধ্যতা করার মাধ্যমে কুফুরী করা।
৪) মুনাফেকী করা তথা মনের মধ্যে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ লুকিয়ে রেখে বাহ্যিকভাবে ইসলাম প্রকাশ করা। এটা জঘণ্যতম কফুরী।



৪২তম প্রশ্নঃ মুনাফেকী কয় প্রকার? উত্তরঃ ১) বিশ্বাসগত ২) কর্মগত।


৪৩তম প্রশ্নঃ বিশ্বাসগত মুনাফেকীর অর্থ কী? তা কয় প্রকার ও কী কী? উত্তরঃ বিশ্বাসগত মুনাফেকীর অর্থ হল, মূলত সে ইসলামকে বিশ্বাসই করেনা। বরং বাহ্যিকভাবে ইসলামকে মেনে চলে মনে হলেও বিশ্বাসগতভাবে সে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষী। ইসলামের ক্ষতি করার জন্য সে এ বেশ ধারণ করেছে।
মুনাফেকী ছয় প্রকার। যেমনঃ
১) আল্লাহ ও রাসূলকে অস্বীকার করা।
২) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত জীবনাদর্শ ইসলাম এবং ইসলামের মৌলগ্রন্থ কুরআনকে অস্বীকার করা।
৩) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ঘৃণা করা।
৪) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত জীবনার্দশকে ঘৃণা করা।
৫) ইসলামকে অপমান করা হলে বা ইসলামের পতন হলে মনে মনে আনন্দিত হওয়া।




৬) ইসলামের বিজয় বা ইসলামের বিস্তার লাভ করাকে অপছন্দ করা।
৪৪তম প্রশ্নঃ কর্মগত মুনাফেকীর বৈশিষ্টগুলো কী কী? উত্তরঃ কর্মগত মুনাফেকীর চারটি বৈশিষ্ট রয়েছে। সেগুলো হলঃ
১) কথায় কথায় মিথ্যা বলা।
২) ওয়াদা ভঙ্গ করা বা কথা দিয়ে কথা না রাখা।
৩) আমানতের খেয়ানত করা।
৪) ঝগড়া করলে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা।




৪৫তম প্রশ্নঃ শির্‌কে লিপ্ত থাকা অবস্থায় কি কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে? উত্তরঃ শির্‌কে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার কাছে কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ “তারা যদি শির্‌ক করত তবে তারা যত আমল করেছিল সব বরবাদ হয়ে যেত।” (সূরা আন’আমঃ ৮৮)


আল্লাহ আরো বলেন, “আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে শিরক করাকে অবশ্যই ক্ষমা করবেন না এবং এর নিন্মস্তরের যে কোন অপরাধ যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন। যে শির্‌ক করল সে (হেদায়েতের পথ থেকে) অনেক দূরে ছিটকে পড়ল।”  (সূরা নিসাঃ ১১৬)




৪৬তম প্রশ্নঃ ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় কয়টি ও কী কী? উত্তরঃ ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয় দশটি। যথাঃ
১) ইবাদতে ক্ষেত্রে শির্‌ক করা।



২) মুশরিকদেরকে মুশরিক মনে না করা বা তাদের কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা কিংবা তাদেরকে সঠিক পথের অনুসারী মনে করা।
৩) আল্লাহ তা’আলার নিকট পৌঁছার উদ্দেশ্যে কোন ‘মাধ্যম’ ধরে তার নিকট  দুআ করা বা তার নিকট সুপারিশ প্রার্থনা করা অথবা তার উপর পরকালে নাজাত পাওয়ার ভরসা করা।



৪) এ বিশ্বাস পোষণ করা যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদর্শের চেয়ে অন্য কোন ব্যক্তির মতাদর্শ উত্তম বা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনীত জীবন ব্যবস্থার চেয়ে অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ শ্রেয়।



৫) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নির্দেশিত কোন বিষয়কে মনে মনে ঘৃণা করা যদিও সে তা পালন করে।
৬) দ্বীন-ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা হেয় মনে করা।



৭) যাদু করা অথবা যাদু-তাবিজ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মনের মিলন কিংবা বিচ্ছেদ ঘটানো।
৮) মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
৯) এ বিশ্বাস করা যে, বিশেষ কিছু  ব্যক্তি রয়েছে যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শরীয়ত মেনে চলতে বাধ্য নন।
১০) ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে চলা, ইসলাম শিক্ষা না করা এবং ইসলাম অনুযায়ী আমল না করা।




৪৭তম প্রশ্নঃ এমন তিনটি বিষয় রয়েছে যেগুলো সর্ম্পকে জ্ঞানার্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক। সে বিষয় তিনটি কী? উত্তরঃ সে তিনটি বিষয় হলঃ ১) আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ২) দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ৩) নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্ম্পকে জ্ঞানার্জন করা।



৪৮তম প্রশ্নঃ তাগুত কাকে বলে? উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া যত কিছুর ইবাদাত করা হয় সবই তাগুতের অন্তর্ভূক্ত।



৪৯তম প্রশ্নঃ তাগুত কতটি এবং মূল তাগুতগুলো কী কী?
উত্তরঃ তাগুতের সংখ্যা অনেক। তবে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল ৫টি।




৫০তম প্রশ্নঃ প্রধান প্রধান তাগুতগুলো কী কী? উত্তরঃ সেগুলো হলঃ
১) শয়তান।
২) যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা হলেও তার কোন প্রতিবাদ করেনা বা তাকে ঘৃণা করেনা বরং তাতে রাজি থাকে।
৩) যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে মানুষকে আহবান করে এবং এজন্য কাজ করে।
৪) যে ব্যক্তি ইলমে গায়ব তথা অদৃশ্যের খবর দিতে পারে বলে দাবি করে ।
৫) যে শাষক আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করেন না।

অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী

 
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদী আরব
দাঈ ও গবেষক, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদী আরব


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

কুরআনে কেন আল্লাহ্‌র জন্য বহুবাচক সর্বনাম এবং পুরুষবাচক সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?

কুরআনে কেন আল্লাহ্‌র জন্য বহুবাচক সর্বনাম এবং পুরুষবাচক সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

মূল : Yusuf States | ভাষান্তর, পরিমার্জনা এবং সম্পাদনা  : আব্‌দ আল-আহাদ
images 






প্রশ্নঃ  কুরআন অনুবাদের ক্ষেত্রে  কেন আল্লাহ্‌র জন্য বহুবাচক সর্বনাম “نَحْنُ” (We বা আমরা) এবং পুরুষবাচক সর্বনাম, “هُوَ” (He বা তিনি) ব্যবহার করা হয়েছে?


উত্তর: এটি একটি ভালো প্রশ্ন। বাইবেলের পাঠকরাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাইবেল এবং কুরআনের অনুবাদের ক্ষেত্রে যে বহুবাচক We বা “আমরা” ব্যবহার করা হয়েছে সেটাকে বলা হয় Royal বা রাজকীয় We (আমরা)। উদাহরণস্বরূপ, যখন কোনো রাজা বা কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বলেন—“আমরা এই অধ্যাদেশ জারি করছি যে…” অথবা “আমরা এই বিষয়টিতে সন্তুষ্ট নই”, তখন তিনি রাজকীয় সর্বনাম “আমরা” ব্যবহার করছেন। এখানে রাজা একজন মাত্র ব্যক্তি যিনি নিজেই অধ্যাদেশ জারি করছেন বা তিনি নিজেই সন্তুষ্ট নন। অথচ নিজের জন্য তিনি “আমি” ব্যবহার করার পরিবর্তে “আমরা” সর্বনাম ব্যবহার করেছেন। এই আমরা দিয়ে বহুবচন বুঝায় না; বরং বক্তার সম্মান এবং মর্যাদাগত অবস্থান তুলে ধরার জন্য এই সর্বনাম ব্যবহার করা হয়।


বাংলাসহ ইংরেজি, ফার্সি, হিব্রু, আরবি ইত্যাদি অনেক ভাষাতেই এই রাজকীয় “আমরা” সর্বনামের ব্যবহার রয়েছে। এটি ভাষার একটি মর্যাদাগত দিক। বিশেষকরে ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। ইংরেজি ব্যকরনের নিয়মানুযায়ী, কর্তা একবচন হলে ক্রিয়াও একবচন হবে। 



অতএব, “He is” বা “She is”  এর মতো “You is” হওয়ার কথা যখন “You” দিয়ে কেবল “তুমি” বা “আপনি” অর্থাৎ একজন মাত্র ব্যক্তিকে বুঝায়। “You” দিয়ে যখন “তোমরা” বুঝায়, তখনই কেবল ব্যকরন অনুযায়ী, “You are” হওয়ার কথা। অথচ, “are” ক্রিয়াটি বহুবাচক “তোমরা” এর জন্য হলেও “তুমি” বা “আপনি” অর্থে “You” সর্বনামের সাথেও আমরা বহুবাচক “are” ব্যবহার করি। একই কথা প্রযোজ্য “I” এর ক্ষেত্রে। অর্থাৎ, ব্যকরনের নিয়মে “I am” না হয়ে “I is” হওয়ার কথা। কিন্তু প্রচলিত ইংরেজিতে “I” এর সাথে “am” ব্যবহার করা হয়। মোটকথা, তুমি বা আপনি অর্থে, “You” এর সাথে “are” এবং “I” এর সাথে “am” এর ব্যবহার হলো Royal Plural বা রাজকীয় বহুবচনের উদাহরণ।



আবার কুরআনে যখন আল্লাহ্‌র জন্য “هُوَ” বা “He” বা পুরুষবাচক “তিনি” ব্যবহার করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রেও উপরের উত্তর প্রযোজ্য। কুরআনে আল্লাহ্‌র জন্য পুরুষবাচক সর্বনাম “هُوَ” ব্যবহার করা হয়েছে আল্লাহ্‌র সুমহান মর্যাদা এবং অতুলনীয় শ্রেষ্ঠত্বকে প্রকাশ করার জন্য। বাংলায় “তিনি” সর্বনামটি একটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ (Neuter Gender) সর্বনাম। নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই “তিনি” সর্বনামটি ব্যবহার করা যায়। যেমন— “তিনি আমার মা” অথবা “তিনি আমার বাবা”। অর্থাৎ, বাবা কিংবা মা উভয়ের ক্ষেত্রেই “তিনি” ব্যবহার করা গেল। আবার “তিনি” দিয়ে নারী বা পুরুষ কাউকেই না বুঝিয়ে সর্বনামটি ব্যবহার করা যায়। যেমন—“তিনি আসছেন।” এখানে যিনি আসছেন তিনি নারী নাকি পুরুষ তা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু আরবিতে এমনটি হওয়া অসম্ভব যেহেতু আরবি ভাষায় বাংলা ভাষার “তিনি” এর মতো কোনো লিঙ্গ নিরপেক্ষ সর্বনাম নেই। 


অধিকিন্তু, আরবি ভাষায় এমন কোনোকিছু নেই যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ। আরবি ভাষায় প্রতিটি Noun বা বিশেষ্যের Gender বা লিঙ্গ রয়েছে—হয় তা নারী, না হয় পুরুষ। এই অপরিহার্য ভাষাগত নিয়মের কারণেই কুরআনে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য পুরুষবাচক “هُوَ” বা “He” এবং নারীবাচক “هِيَ” বা “She”—এই দুটিমাত্র সর্বনামের মধ্য থেকে পুরুষবাচক “هُوَ” বা “He” সর্বনামটিকে চয়ন করা হয়েছে। আর এটিই যথার্থ শোনায়। কারণ নারী বা পুরুষ হওয়া সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু এই বৈশিষ্ট্য থেকে মুক্ত এবং পবিত্র।



'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

বইঃ পরিবেশ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (স)

বইঃ পরিবেশ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (স)



রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

Poribesh 
সংক্ষিপ্ত  বর্ণনাঃ মহাগ্রন্থ আল কুরআন সমুদয় জ্ঞানের মূল উৎস। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো এমন গুরুত্ত্বপূর্ণ অধ্যায় মহান আল্লাহ্‌ সুবহানু ওয়াতা’আলা নিখুঁত ভাবে সুসজ্জিত করেছেন। রোগ যেমন আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে তেমনি নিরাময়ের ঔষুধও আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করে দিয়েছেন।


 সহীহ মুসলিম শরীফের হাদীসে জাফর ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) রাসূলে করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন। আল্লাহর রাসূল ইরশাদ করেন, প্রত্যেক রোগের ঔষুধ আছে। সুতরাং যখন রোগ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করা হয়, তখন আল্লাহর হুকুমে রোগী আরোগ্য লাভ করেন।কুরআন-হাদীসে চর্চা ও গবেষণার অভাবে ঐসব বাণীসমূহের সঠিক গুরুত্ত্ব বোধগম্য হচ্ছে না এবং উহার মর্মার্থ দ্বারা বিশ্ববাসী উপকৃতও হতে পারছে না। 


 রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য রাসূলে কারীম (সা) যে সব আমলের প্রতি জোড়ালো তাগিদ দিয়েছেন এবং যে সব জিনিসকে পথ্য ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন, সে সম্পর্কে “পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (সা)” বইটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সংক্ষেপে আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হলঃ


  • পবিত্র কুরআন মাজীদে বর্ণিত মধুর গুণাগুণ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর অবদান
  • কুরআন কারীমে দুধ ও এর পুষ্টিগুণ
  • মায়ের দুধ
  • কালিজিরার উপকারিতা
  • খেজুর
  • যমযমের পানির ফযীলত
  • খাদ্যের পুষ্টি
  • রাসূল (সা) এর খাদ্যাভ্যাস
  • যা জানা আবশ্যক
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কিছু টিপস
  • মহামারী আকাশে প্লেগ রোগে জনগণের করণীয়
  • অমাবস্যা ও পুর্ণিমা
  • এইডস
  • সূন্নতে রাসূল ও আধুনিক ধ্যান বিজ্ঞান
  • অজু ও মানবদেহ
  • ওপেন হার্ট সার্জারী
  • খৎনার উপকারিতা
  • মেসওয়াক ও দাতের স্বাস্থ্য
  • নামায ও শারিরীক সুস্থতা
  • নামাযের সময় ও আধুনিক বিজ্ঞান
  • পবিত্রতা ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
  • রোযা ও আধুনিক বিজ্ঞান
  • স্বাস্থ্যসম্মত সহবাস
  • যৌনশক্তি বৃদ্ধিকারি কতিপয়
পরিবেশ স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (স) – QA Server

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Friday, October 21, 2016

"আশুরার চেতনা ও শিক্ষা" ~ মুফতি কাজী ইব্রাহীম

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- 
 
 

"আশুরার চেতনা ও শিক্ষা" ~ মুফতি কাজী ইব্রাহীম

 
 
 
 
 

"নিসফে শা’বান (শবে বরাত) সংক্রান্ত হাদীস কি ছহীহ ?"~ মুফতি কাজী ইব্রাহীম

 
 
 

"স্বামী স্ত্রির সংসার চলে I LOVE YOU এর উপর"।- মুফতি কাজী ইব্রাহীম

 
 

সুখী মানুষ হতে চাইলে এই বক্তব্যটুকু শুনুন ! মুফতি কাজী ইব্রাহীম

 
 
 
 
 
 
 
'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা

বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-

hadiser name jaliyati

                              লিখেছেনঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর

{পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ), এম. এ. (রিয়াদ), এম.এম. (ঢাকা)
অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া}




সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ কুরআন কারীমের পরে রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীস ইসলামী জ্ঞানের দ্বিতীয় উৎস ও ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি। মুমিনের জীবন আবর্তিত হয় রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীসকে কেন্দ্র করে। হাদীস ছাড়া কুরাআন বুঝা ও বাস্তাবায়ন করাও সম্ভব নয়। হাদীসের প্রতি এই স্বভাবজাত ভালবাসা ও নির্ভরতার সুযোগে অনেক জালিয়াত বিভিন প্রকারের বানোয়াট কথা ‘হাদীস’ নামে সমাজে প্রচার করেছে। সকল যুগে আলিমগণ এসকল জাল ও বানোয়াট কথা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করে মুসলমানদেরকে সচেতন করেছেন।
আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে হাদীসের পঠন, পাঠন ও চর্চা থাকলেও সহীহ, যয়ীফ ও বানোয়াট হাদীসের বাছাইয়ের বিষয়ে বিশেষ অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। যুগ যুগ ধরে অগণিত বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা কথা হাদীস নামে আমাদের সমাজে প্রচারিত হয়েছে ও হচ্ছে। এতে আমরা রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে মিথ্যা বলার কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হচ্ছি। এছাড়াও দুইভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। প্রথমত, এ সকল বানোয়াট হাদীস আমাদেরকে সহীহ হাদীসের শিক্ষা, চর্চা ও আমল থেকে বিরত রাখছে। দ্বিতীয়ত, এগুলির উপর আমল করে আমরা আলাহর কাছে পুরস্কারের বদলে শাস্তি পাওনা করে নিচ্ছি।




এই পুস্তকের প্রথম পর্বে হাদীসের পরিচয়, হাদীসের নামে মিথ্যার বিধান, ইতিহাস, হাদীসের নির্ভুলতা নির্ণয়ে সাহাবীগণ ও পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিরীক্ষা পদ্ধতি, নিরীক্ষার ফলাফল, মিথ্যার প্রকারভেদ, মিথ্যাবাদী রাবীগণের শ্রেণীভাগ, জাল হাদীস নির্ধারণের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা পাঠকের মনের দ্বিধা ও অস্পষ্টতা দূর করবে এবং হাদীসের নির্ভুলতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর অলৌকিক বৈশিষ্ট্য পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে।




দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিভিনড়ব ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল হাদীসের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাল হাদীসের বিষয়ে লেখকের মূলত নিজের কোনো মতামত উলেখ করা হয়নি। দ্বিতীয় হিজরীর তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ী ইমামগণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের অগণিত মুহাদ্দিস রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে প্রচারিত সকল হাদীস সংকলন করে, গভীর নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে সে সকল হাদীস ও রাবীদের বিষয়ে যে সকল মতামত প্রদান করেছেন লেখক মূলত সেগুলির উপরেই নির্ভর করেছেন এবং তাঁদের মতামতই উল্লেখ্য করা হয়েছে।



পাঠকদের কম্পিউটারে পড়ার সুবিধার্থে বইটিতে Interactive Link অ্যাড করেছে কুরআনের আলো টিম। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখাবে। আবার বইটির উপরে Contents এ ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্রে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।

হাদীসের নামে জালিয়াতি –
 
হাদীসের নামে জালিয়াতি – Mediafire

 বইটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি Hard Copy সংগ্রহ করে, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করুন।

'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'
 

প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে
আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

Copyright @ 2013 Islamic Entertainment..